Subject Review -Chemistry
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পর শিক্ষার্থীরা দ্বিধা-দ্বন্দে ভূগে। রসায়নের ভবিষ্য়ত পড়াশুনা ও চাকরি ক্ষেত্র নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।
![]() |
রসায়ন সাবজেক্ট রিভিউ |
রসায়ন যদি তোমার প্রথম পছন্দ হয়, তাহলে নিজেকে তৈরি করে নাও মানসিক ভাবে। কারণ, রসায়নে পড়তে হয় বিভিন্ন রকমের পদার্থ, তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম, তারা কী ভাবে একে অপরের সঙ্গে মিশে এক বা একাধিক নতুন পদার্থ তৈরি করে, যদি নতুন কোনও পদার্থ তৈরি করে তা হলে সেই পদার্থটির ধর্ম কী ইত্যাদ।
পাশাপাশি একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া কী ভাবে সংঘটিত হবে, পর্যায় সারণিতে কোন মৌলের অবস্থান কোথায়, তাদের ধর্ম, মৌলগুলির আন্তঃসম্পর্ক রসায়ন শাস্ত্রের এই প্রথম ধাপগুলি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা তোমার থাকাটা বাঞ্ছনীয়। (Subject Review -Chemistry)
![]() |
বিভিন্ন ধরনের মৌল |
অনেকের কাছেই বিষয়টি খুব বোরিং মনে হলেও ভেবে দেখ, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমরা যা কিছু ব্যবহার করি, তা সবই তো রাসায়নিক। সে টুথপেস্ট হোক, খাবারদাবার হোক বা কোনও জীবনদায়ী ওষুধ। এই সব জিনিসের জন্ম হয় রসায়নাগারে, উৎপাদন হয় রাসায়নিক শিল্পকারখানায়। পরিবেশের ক্ষতি না করে মানুষের কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক জিনিসপত্র তৈরি করা, সেই জিনিস তৈরির ঠিক পদ্ধতি আবিষ্কার করা, এক জন দক্ষ রসায়নবিদ ছাড়া তো এ কাজ আর কেউ করতে পারে না। (Subject Review -Chemistry)
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রসায়ন শাস্ত্র এখন আর শুধু তার প্রথাগত শাখার মধ্যেই সীমিত নেই। বরং ছড়িয়ে পড়েছে
- বায়োকেমিস্ট্রি
- ফিজিক্যার কেমিস্ট্রি
- অর্গানিক কেমিস্ট্রি
- ইনঅর্গানিক কেমিস্ট্রির
- বায়োকেমিস্ট্রি
- সিনথেট বা ইনঅর্গ্যানিক কেমিস্ট্রি,
- বায়োঅর্গানিক এবং
- বায়োইনঅর্গানিক কেমিস্ট্রি,
- বায়োমলিকিউলস এবং বায়ো মিমিকস
- ড্রাগ ডিজাইন এবং ড্রাগ ডেলিভারি সিস্টেমস,
- অর্গ্যানোমেটালিক এবং সুপ্রামলিকিউলার কেমিস্ট্রি,
- কম্পিউটেশনাল এবং থিয়োরেটিক্যাল কেমিস্ট্রি,
- সলিড স্টেট এবং সফ্ট কনডেন্সড ম্যাটার,
- কোলয়েডস এবং ইন্টারফেসেজ,
- রাবার এবং পলিমারস,
- মেটাল,
- সিরামিক এবং কম্পোজিটস,
- ক্যাটালিসিস,
- ফোটোকেমিস্ট্রি এবং লিথোগ্রাফি,
- ন্যানোটেকনোলজি ইত্যাদিতে।
এ ছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বিভিন্ন শাখা,
মেডিসিন আর্থ সায়েন্স এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স-এর মতো বিষয়ে ইন্টারডিসিপ্লিনারি গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে ছেলেমেয়েদের কাছে। (রসায়ন সাবজেক্ট রিভিউ)
স্নাতকের চার বছরে তোমাকে যে ভূবনে বিচরণ করতে হবে সেগুলো একবার দেখে নাও:
- Surface Chemistry and Adsorption phenomena.
- Reaction Kinetics.
- Photochemistry.
- ynthetic Organic
Chemistry.
- Organic Reaction
Mechanism.
- Natural Products and
Carbohydrates.
- Organometallic Chemistry.
- Jute and Cellulose.
- Medicinal Chemistry.
- Pesticide residues.
- Inorganic Polymers including
- Phosphorus-Nitrogen, Sulphur-Nitrogen
- and Silicon Compounds.
- X-ray crystallographic studies and solid state Chemistry.
- Co-ordination Chemistry.
- Catalysis.
- Analytical Chemistry
- Development of Analytical techniques.
- Analysis of Water, Soil and bio-logical samples.
- Study of metal-drug interactions
- Environmental Chemistry
- Monitoring of soil, water and air pollution.
- Development of pollutants remedial methods from water.
- Characterization of different organic pollutants present in water and soil.
- Electrochemistry and Electroanalytical Methods.
- Polymer Chemistry.
- Bioinorganic Chemistry.
এটা মোটামুটি ধারনা।বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি ও তোমাদের ডিপার্টমেন্ট তোমাদের জন্য সাজিয়ে গুছিয়ে সিলেবাস তৈরি করবেন। (রসায়ন সাবজেক্ট রিভিউ)
![]() |
CHEMISTRY |
কেমিস্ট্রির জব সেক্টর
বিদেশে স্কলারশিপ এর অপার সুযোগ সহ বি.সি.এস এর মাধ্যমে সরকারী কলেজগুলোতে শিক্ষকতা বা অধ্যাপনার, ব্যাংক জব এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সংস্থাতেও রসায়নের ছাত্রছাত্রীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। যেমন রাসায়নিক বা আনুষঙ্গিক শিল্পক্ষেত্রে রয়াসনের ছেলেমেয়েরা কাজ পেতে পারে
বিসিআইসি,এর মত সরকারী প্রতিষ্ঠান সহ প্রচুর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ দেশে আছে।
- ফার্টিলাইজার এন্ড ইনসেক্টিসাইড
- ফুড এন্ড নিউট্রিশন
- ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রীজ
- রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট,
- ম্যানুফ্যাকচারিং,
- কোয়ালিটি কন্ট্রোল,
- সেলস ও মার্কেটিং,
- ইন্টালেকচুয়্যাল প্রপার্টি রাইটস ইত্যাদিতে। এ ছাড়াও
- এনার্জি এবং এনভায়রনমেন্ট সেক্টর,
- অ্যানালিটিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টস সেক্টর,
- মেটাল এবং অ্যালয় সেক্টর এমনকী
- আই টি সেক্টরেও কাজ করা যায় রসায়ন পড়ে
আরো সাবজেক্ট রিভিউ পরুন এখানে:
স্বীকারোক্তিঃ এখানে
উপস্থাপিত সকল তথ্যই দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোক দ্বারা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা। যেহেতু
কোন মানুষই ভুলের ঊর্দ্ধে নয় সেহেতু আমাদেরও কিছু অনিচ্ছাকৃত ভুল থাকতে পারে।সে
সকল ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী এবং একথাও উল্লেখ থাকে যে এখান
থেকে প্রাপ্ত কোন ভুল তথ্যের জন আমরা কোনভাবেই দায়ী নই এবং আপনার নিকট দৃশ্যমান
ভুলটি আমাদেরকে নিম্নোক্ত মেইল / পেজ -এর মাধ্যমে অবহিত করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ই-মেইলঃ mdsaifulislamfahad.m@gmail.com
Comments
Post a Comment
Don:t Share Any Link