সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ , মিরপুর-১৪, ঢাকা|| Admission Fighter
সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ মিরপুর-১৪
♦️১৯৮৯-৯০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ১ম ব্যাচের যাত্রা শুরু করে বর্তমানে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ৩৩ তম ব্যাচের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রক্রিয়াধীন।
🔷চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস মানবদেহে চিকিৎসার জন্য দুটি পদ্ধতির কথা বলেছেন। যার একটি বিসদৃশ (Dissimilar) তথা এলোপ্যাথি আর অপরটি হলো সদৃশ (Similar)) তথা হোমিওপ্যাথি। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. ক্রিশ্চিয়ান স্যামূয়েল হ্যানিম্যান ১৭৯০ সালে দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করলেন যে, সদৃশ চিকিৎসাপদ্ধতিই হতে পারে আরোগ্যের একমাত্র নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। তিনি এর নাম দিলেন হোমিওপ্যাথি।
♻ তৎকালীন সময়ের একজন খ্যাতিমান MD ডিগ্রিধারী এলোপ্যথিক চিকিৎসক হ্যানিম্যান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত এ চিকিৎসাপদ্ধতির আবিষ্কারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশ্বে এক নতুন যুগের সূচনা করলেন। পরবর্তীকালে খ্যাতিমান অসংখ্য বিজ্ঞানীর অংশগ্রহণ এবং গবেষণার মাধ্যমে এ পদ্ধতি আরো সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। যার ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে ‘হোমিওপ্যাথি একটি বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি' আবিষ্কারের জন্য সুইডশ পার্লামেন্ট গ্রিসের বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ডা. জর্জ ভিথোলকাস কে বিকল্প নোবেল পুরস্কার প্রদান করেন।
♻ বর্তমান বিশ্বে হোমিওপ্যাথি একটি আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি হিসেবে পরিচিত। তাই বাংলাদেশ সরকার হোমিওপ্যাথির উন্নয়নে বেশকিছু প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকার মিরপুর-১৪ এ প্রায় ৭ একর জমির ওপর ১৯৮৪ সালে সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৯ সালের ৩ মার্চ কার্যক্রম শুরু হয়।
✅ এ কলেজটি দেশের একমাত্র সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এবং এটি হোমিওপ্যাথিতে দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রি ‘ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি' বিএইচএমএস (BHMS) ডিগ্রি প্রদান করে যার মান এমবিবিএস (MBBS) ডিগ্রির সমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ BHMS কোর্সটি পরিচালনা করে।
✅প্রতি ব্যাচে ৫০ জন করে বর্তমানে ২৬-৩১তম ব্যাচ পর্যন্ত মোট ৩০০০+ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। ২৬ তম ব্যাচ ইন্টার্নিরত।
✅১৯৮৯-৯০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ১ম ব্যাচের যাত্রা শুরু করে বর্তমানে ৩৩ তম ব্যাচের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রক্রিয়াধীন।
🔴
🔹১টি একাডেমিক ভবন, কয়েক লক্ষ্য বই সমৃদ্ধ
🔹একটি আধুনিক লাইব্রেরি,
🔹২টি আবাসিক হল (একটি ছাত্র ও ১টি ছাত্রী হল),
🔹১ টি মসজিদ, ১টি জাদুঘর ও ১টি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে, ইন্ডোর গেমসের আর বাৎসরিক শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা রয়েছে।
🔴মোট ১৪ টি ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। বিভাগগুলো হলো :
1. Anatomy Department
2. Physiology “
3. Pharmacy “
4. Community Medicine
5. Forensic “
6. Pathology “
7. Gynecology “
8. Practice of Medicine “
9. Surgery “
10. Medicine “
11. Organon of Medicine “
12. Chronic disease , case taking & Repertory Dept.
13. Homeopathic Psychology Dept.
14. Homeopathic Philosophy Dept.
⭕হাসপাতাল সম্পর্কিত তথ্য : ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে দুভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে :
🔹আউটডোর সার্ভিস (OPD)
🔹ইনডোর সার্ভিস (IPD)
🔴আউটডোর সার্ভিস : যা গাইনি, শিশু, পুরুষ ও ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে বিভক্ত। প্রতিদিন সকাল ৯.০০টা - দুপুর ১.০০ খোলা থাকে। তাছাড়া প্রতি ১ দিন পরপর কলেজের অধ্যাপকবৃন্দ নিয়মিত আউটডোরে রোগী দেখেন। আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে ৬০০-৮০০জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন।
✅ইনডোর সার্ভিস : যা গাইনি এন্ড অবস্ , মহিলা, শিশু, পুরুষ, মেডিসিন ও সার্জারি ওয়ার্ডে বিভক্ত। ইনডোরে জটিল ও পুরোনো রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করিয়ে তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।
✅হাসপাতালের ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সুবিধাসমুহ :
হাসপাতালের নিজস্ব ল্যাব ও ডায়গনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এখানে আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি ও এক্স-রেসহ সকলপ্রকার প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ রয়েছে।
✅কোর্স ও কারিকুলাম সম্পর্কিত তথ্য
কোর্সের নাম : BHMS (Becholor of Homepathic Medicine of Surgery)
🔰কোর্সের মেয়াদ : ৫ বছর
🔰ইন্টারনীশিপ : ১ বছর (কলেজের নিজস্ব হাসপাতালে)
🔰আসন সংখ্যা : ৫০ টি ( ৪৮টি সাধারণ, ১টি উপজাতি ও ১টি বিদেশি)
🔴ভর্তির শর্ত ও যোগ্যতা : এমবিবিএস অনুরুপ অর্থাৎ
➡নিয়মিত S.S.C & H.S.C Pass (বিজ্ঞান বিভাগ ও জীববিজ্ঞান আবশ্যক)
➡S.S.C & H.S.C : মোট GPA-৮(পরিবর্তনশীল)
➡২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়।
➡S.S.C & H.S.C/Alim এর ফলাফলের জন্য ১০০ নম্বর, S.S.C/Dhakil এ প্রাপ্ত GPA এর ৮ গুণ (8x5)= 40 এবং H.S.C/Alim এ প্রাপ্ত GPA এর ১২ গুণ (12x5) = 60.
➡লিখিত পরীক্ষা (MCQ) = ১০০ নম্বর (পদার্থ-২০, রসায়ন-৩০, জীব-৩০, ইংরেজি-১০, সাধারণ জ্ঞান-১০)
🟣সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা দেওয়া যায় এতে ৫ মার্ক কাটা হয়না।
💠এমবিবিএস কোর্সের সকল বিষয় এই কোর্সে (BHMS) পড়ানো হয়।
💠২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি হওয়ার সম্ভাবনা আছে
🟣BHMS কোর্সের একাডেমিক ৫ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট 5400 নম্বরের ৪টি Professional (পেশাগত) পরীক্ষায় উত্তীর্ন হতে হয়। সাফল্যের সঙ্গে পড়াশোনা শেষ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন এর মাধ্যমে সার্টিফিকেটর (BHMS) ডিগ্রি প্রদান করে।
🟣বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথির অবস্থান : ভারতীয় উপমহাদেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যপক জনপ্রিয়তা লাভ করে ১৮০০ শতকের প্রথম দিকে। বিশেষ করে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের উল্লেখযোগ্য তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং শিশু রোগের চিকিৎসায় এ পদ্ধতি খুবই নিরাপদ। এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান আমলে ১৯৬৫ সালে হোমিওপ্যাথিক বোর্ড গঠনের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষাব্যবস্থাকে একটি কাঠামোর আওতায় নিয়ে আসা হয়। ১৯৮০ এর দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৫ বছর মেয়াদী গ্র্যাজুয়েশন (সম্মান) কোর্স প্রবর্তন করা হয়। ১৯৮৩ সালে হোমিওপ্যাথিক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক বোর্ড গঠন করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো সুগঠিত করা হয়। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সার্ভিসের মহা পরিচালকের অধিদপ্তরে একটি হোমিওপ্যাথিক দেশজ চিকিৎসার পরিচালকের দপ্তর সৃষ্টি করা হয়।
🔴বর্তমানে দেশে ১টি সরকারিসহ মোট ২টি গ্যাজুয়েশন (সম্মান) হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ
🟣৬৩টি ডিপ্লোমা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত আছে।
🟣দেশে প্রায় ১৬০০ ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী (BHMS) এবং বহু সহস্র ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী ডাক্তার চিকিৎসাসেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।
♻দেশের মোট জনসমষ্টির একটি বিরাট অংশ ( ৪০%) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকে। আর অন্যান্য চিকিৎসায় বিফল হয়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণকারী রোগীর সংখ্যা কম নয়।
✅সুবিধাসমুহ ও চাকরির ক্ষেত্র
ÿ বর্তমানে ১৫টি সদর হাসপাতালে সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত BHMS ডিগ্রিধারী ১ম শ্রেণীর চিকিৎসকরা সেবা প্রদান করছেন এবং ২৬ জনের নিয়োগ পক্রিয়া শিগগিরই সম্পন্ন হবে এ বছর নভেম্বর / ডিসেম্বর মাসে
✅দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল, জেলা ও উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ মেডিকেল অফিসার হিসেবে BHMS চিকিৎসক নিয়োগের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
✅ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মেডিকেল সেন্টারে BHMS চিকিৎসকরা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে সেবা প্রদান করছেন।
✅ঢাকা সিটি কর্পোরেশনসহ দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে BHMS চিকিৎসকরা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে সেবা প্রদান করেছেন।
✅BCS (সাধারণ) পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করা যায়।
BCS ক্যাডার হয়ে অনেকে পুলিশ ক্যাডারসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।
✅সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান- বেসিক হোমিওপ্যাথিক ক্লিনিক (প্রা:) লি: , ইসলামী ব্যাংক হোমিওপ্যাথিক ক্লিনিক, আহসানিয়া মিশন, ইবনে সিনা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে BHMS চিকিৎসক চাকরিরত আছে।
✅আরো রয়েছে প্রাকটিস করে মানবসেবা এবং অর্থ উপার্জনের বিশাল সুযোগ।
✅ইন্টার্নি চলাকালিন সময়ে মাসিক ১০,৫০০/-টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়।
✅BHMS পাস করার পর দেশে বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করা যায়।
তাই যারা সাদা এপ্রোনে সোনালী ক্যারিয়ার গড়তে উন্মুখ তারা ভর্তি পরীক্ষায় নিজেকে প্রমাণ করতে এখনই প্রস্তুত হও।
স্বীকারোক্তিঃ এখানে উপস্থাপিত সকল তথ্যই দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোক দ্বারা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা। যেহেতু কোন মানুষই ভুলের ঊর্দ্ধে নয় সেহেতু আমাদেরও কিছু অনিচ্ছাকৃত ভুল থাকতে পারে।সে সকল ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী এবং একথাও উল্লেখ থাকে যে এখান থেকে প্রাপ্ত কোন ভুল তথ্যের জন আমরা কোনভাবেই দায়ী নই এবং আপনার নিকট দৃশ্যমান ভুলটি আমাদেরকে নিম্নোক্ত মেইল / পেজ -এর মাধ্যমে অবহিত করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ই-মেইলঃ mdsaifulislamfahad.m@gmail.com
Comments
Post a Comment
Don:t Share Any Link